রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে স্বামীর কাছে যৌতুক দাবি করায় স্ত্রীর কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট 


স্ত্রী যৌতুক দাবী করায় ওয়াহেদ আলী নামীয় এক ব্যক্তি স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা স্ত্রীর বিরুদ্ধে এক বছরের সাজা ও দশ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেয় বিচারিক আদালত।

৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিচারিক আদালত-৩ এর বিচারক নুসরাত জামান এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, চার বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদরের ভবানীগঞ্জ ইউপির আলীপুর গ্রামের সফি উল্যাহ ভূঁইয়ার কন্যা আয়েশা আক্তার মিতুর সাথে একই ইউপির ধর্মপুর গ্রামের সৈয়দ আহম্মদের পুত্র ওয়াহেদ আলীর বিবাহ হয়। বিবাহের পর মিতু পড়তে ইচ্ছে কারায় তাকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে ভর্তি করে দেয় স্বামী।

এর পর থেকে মিতুর বেপরোয়া চলাফেরা দেখে স্বামী বাধা নিষেধ করলেও তা মানতনা মিতু। গত ৮/৫/১৮ইং ওয়াহেদ আলীর দেয়া স্বর্ণলংকার ও ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা নিয়ে মিতু তার বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিশে স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিতু স্বামীর কাছে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও তার নামে ১০ডিং জমি রেজিষ্ট্রি দাবী করে। উক্ত টাকা ও জমি না দিলে মিতু স্বামীর জজিয়তে আসবে না এবং ঘর সংসার করবে না বলে জানায়।

এ ঘটনায় ওয়াহেদ আলী বাদি হয়ে ১৬/৫/১৬ইং তারিখে  সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল সদর লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় মামলা দায়ের করে। যার সি আর মামলা নং ৪১৫/১৮ইং। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত আয়েশা আক্তার মিতুকে দোষী সাব্যস্ত করে একবছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ডের রায় দেন।

বাদীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম জুয়েল বিজ্ঞ আদালতের রায়ে সন্তোষ জানান।

ওয়াহেদ আলী জানান, বিবাহের পর থেকে আমার স্ত্রী নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমার কাছে যৌতুক দাবী করে। আমি আদালতে তার বিরদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। এ মামলা রায়ের মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

Comments are closed.

More News Of This Category